নোয়াখালীর সেনবাগে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভা নির্বাচনে অন্তদ্বন্দ্বে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। সেনবাগ উপজেলার একটি পৌরসভার ও ৫ টি ইউপির ১টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হলেও অপর ৪টি ইউপির দুইটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ও দুইটি বিএনপি সমর্থক (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, সেনবাগ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) ভিপি আবু নাছের প্রকাশ ভিপি দুলাল (নারিকেল গাছ মার্কা)
১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে বিএনপির সমর্থক (স্বতন্ত্র) আনারস মার্কার প্রার্থী আবদুর রহমান, ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিন্দ্বীতায় নৌকার প্রার্থী শওকত কানন, ৪নং কাদরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) আনারস মার্কার প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নে বিএনপির সমর্থক (স্বতন্ত্র) টেলিফোন মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বাহার, ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ্আনারস মার্কার প্রার্থী সেলিম উদ্দিন কাজল।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নৌকার প্রার্থীদের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে যে ৫ জন বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১,আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী ২ জন এবং ২ জন বিএনপির সমর্থক (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জয় পেয়েছেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংশি¬ষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারীভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবির বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাফর আহমদ চৌধুরী তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন,সবাই এখন ক্ষোভ-দুঃখে আছে। আমি আগে খোঁজ খবর নিয়ে পরে এ বিষয়ে কথা বলব।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য,তৃতীয় ধাপে রোববার (২৮ নভেম্বর) সেনবাগ পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে এবং ৫টি ইউনিয়নের মোট ৫০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সেনবাগ পৌরসভার নয়টি ও ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের নয়টিসহ মোট ১৮টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৫৯টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ২৯৮ জন পুলিশ, ১৯টি মোবাইল টিম, সাতটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাতটি স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স, জেলা গোয়েন্দা শাখার চারটি টিম, পাঁচটি চেকপোস্ট এবং চারটি স্ট্যান্ড বাই টিম, ওসিদের একটি টিম এবং সিনিয়র অফিসারদের পাঁচটি টিমে মোট ৬৫৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ৯২৯ জন আনসার, র্যাবের ৩৭ জন এবং বিজিবির ৮৩ জন সদস্য একযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন।