কুলাউড়া উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ১৩ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী ৭ জন, ৪ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ৪ জন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ৬ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলা পরিষদের হলরুমে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যদের স্ব স্ব ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।
বরমচাল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আহমদ খান ৬,৪৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবুল হোসেন খসরু ২৯৩১ ভোট পেয়েছেন।
ভূকশিমইলে বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি ঘরনার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান ৬,৫৯৮ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মইনুল ইসলাম সোহাগ ৫,৫০৮ ভোট পেয়েছেন।
ভাটেরায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম ৩,৪৮৮ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রবাসী জুবায়ের সিদ্দিকী সেলিম ২,৭৭৯ ভোট পেয়েছেন।
জয়চন্ডীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুর রব মাহাবুব ৯,৫৬৬ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী টানা তিনবারের চেয়ারম্যান বিএনপি ঘরনার স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আহমদ কমরু ৬,৪৬২ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রভাষক মোঃ মমদুদ হোসেন ৮,৬৪৫ ভোট পেয়ে পুনরায় বিজয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী খান ময়নুল হোসেন ৪,৫৮২ ভোট পেয়েছেন।
কাদিপুরে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী জাফর আহমদ গিলমান ৭,১৩৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ছালাম ৩,০৪৮ ভোট পেয়েছেন।
কুলাউড়া সদরে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মোছাদ্দিক আহমদ নোমান ৩,১১৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো নবীন প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস আক্তার বুবলী ২,৯৮৯ ভোট পেয়েছেন।
রাউৎগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আকবর আলী সোহাগ ৪,৭২৩ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল জামাল ৩,৫৯১ ভোট পেয়েছেন।
টিলাগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের মো. আবদুল মালিক ১০,৩৬৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ায়ম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালিক ৬,১১৯ ভোট পেয়েছেন।
হাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াদুদ বক্স ৬,৬৩০ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহমুদ আলী ৪,৪৪৪ ভোট পেয়েছেন।
শরীফপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মো. খলিলুর রহমান ৫,৬৭৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ চিনু মিয়া ২,৯৬০ ভোট পেয়েছেন।
পৃথিমপাশায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম জিমিউর রহমান চৌধুরী ফুল ৬,৬৭১ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল লতিফ (স্বতন্ত্র) ৪,০৬০ ভোট পেয়েছেন।
কর্মধায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মুহিবুল ইসলাম আজাদ ১১,১২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান ৪,২৪৯ ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ১৩ চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী ১৩ জন, লাঙ্গলের ১ জন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ৫ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৭ জনসহ মোট ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন।