জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে শাম্মী আকতার মিলি(১৫) নামের এক কিশোরী কে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে বড়তারা উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য রফিকুুল ইসলামকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রফিকুল ইসলাম বাঘোপাড়া গ্রামের মামুনুর রহমান মামুনের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি জানান, বাঘোপাড়া গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে শাম্মী আকতার মিলি(১৫) কে ওই স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় রফিকুল ও সহযোগী বড়তারা গ্রামের রফিকুলের ছেলে শাহিনুর- এমন অভিযোগে তাদের আসামি করে গত ৮ নভেম্বর ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা মিলন মিয়া। মামলার পর থেকে মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে ওই কিশোরীকে রফিকুল, শাহিনুর ও অন্য আসামিরা অপমান করেন। যৌন নির্যাতনের জন্য তাকেই দায়ী করে। মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেন। মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকে ধর্ষণ করারও হুমকি দেন তারা। এ কারণে ওইদিন বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই স্কুলছাত্রী।
আত্মহত্যার পর ওই কিশোরীর সুইসাইড নোট পাওয়ার দাবি করে তার পরিবার। মামলার এজাহারেও সুইসাইড নোটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর থেকেই রফিকুল পলাতক ছিলেন।
ওসি আরও জানান, রফিকুলের এক ছেলে ও এক মেয়ে ওই স্কুলেই পড়ে। যে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে, সে ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে মামলায় উল্লেখ করা আছে। তার মৃত্যুর পরদিন রফিকুল ও শাহিনুরসহ পাঁচজনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহারুল আলম বলেন, ‘আসামি রফিকুল ওই কিশোরীকে এক বছর থেকে বিভিন্নভাবে যৌন নির্যাতন চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে মঙ্গলবার আদালতে তোলার কথা রয়েছে।’
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্র নাথ জানান, দুই মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আরেকজন হলেন রফিকুলের মামা আব্দুর রাজ্জাক। অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।