কসবা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কে উপজেলাবাসী। করোনার ভয়ংকর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। সদ্য দেশে আসা ৩ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীকে নিজ বাসভবনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সদ্য দেশে আসা কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের মো. হারিজ ভূইয়ার পুত্র মো. আলমগীর হোসেন ভূইয়া ও তার কন্যা আলিশা বিনতে আলমগীর (৫) ও কসবা পৌর এলাকা গুরোহিত গ্রামের আরু মিয়ার পুত্র লোকমান মিয়াকে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সতর্কতামূলক তাদের নিজ বাসভবনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
উপজেল নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম জানান, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে তাদের বাড়িতে গিয়ে তিনি তাদের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সময় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুপ পাল ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুপ পাল জানান, হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে জানা যাবে তাদের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ বহন করছেন কিনা। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার শক্তিশালী নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত করোনার টিকার সরবরাহ রয়েছে। করোনার টিকা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলেও বর্তমানে লোকজন করোনার টিকা নিতে তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও করোনার টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।