মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৫০ বছর পুরোনো একটি জামে মসজিদ উচ্ছেদ করায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায় মসজিদ উচ্ছেদ করে দখলে নিতে পুলিশ গেলে এলাকাবাসী দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াছমিন সুলতানা।
এসময় এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ইমামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মেম্বার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মাথা ভাঙ্গা (বড় পাঁচানি) এলাকায় ৫০ বছর পুরোনো একটি জামে মসজিদের আংশিক বুধবার ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ওই মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, আরবি শিক্ষা কেন্দ্র ও রয়েছে।
বিশ্বে এই প্রথম কোনো সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে। সরকার যেখানে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করছে সেখানে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না করেই ব্যক্তি বিশেষের
স্বার্থ রক্ষায় মসজিদ ভেঙে চলছে। আমরা আহবান করবো প্রশাসন যেন তার এই কর্মকা- থেকে বিরত থাকে।
১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, মাথাভাঙা গ্রামের বড় পাঁচআনী মহল্লার প্রথম জামে মসজিদ এটি। জন্মের পর থেকে আমরা আরবি শিক্ষা ও নামাজ আদায় করে আসছি।
গজারিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরবমান খতিয়ানের জমি থাকলেও সেগুলো উচ্ছেদ না করে ধর্মীয় স্হাপনা মসজিদ উচ্ছেদে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াছমিন সুলতানার কাছে এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী মুঠো ফোনে জানান, সরকারী সম্পতি রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ এটি। তিনি দাবী করেন, এখানে কোন মসজিদ ছিলো না। এখানে একটি অটোরিকশা গ্যারেজ ছিল।