শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গৃহবধূকে (২০) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার
রাতে উপজেলার লঙ্গরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের চারতলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়
জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজেই বাদী
হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীবরদী থানায় মামলা
করেন। পরে শ্রীবরদী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো.
কামরুজ্জামান (২৩) ও দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) এবং জামালপুরের
দেউরপাড়া গ্রামের আবদুল সেকের ছেলে আয়নাল হক (৫০)। আয়নাল হক উপজেলার
লঙ্গরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূ উপজেলার উত্তর খড়িয়া
গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারকৃত
কামরুজ্জামান গৃহবধূর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ধার নেন। গত সোমবার দুপুরে
ওই গৃহবধূ কামরুজ্জামানের কাছে তাঁর পাওনা টাকা চান। এরপর সোমবার
সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার কথা বলে কামরুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী শফিকুল ইসলাম
গৃহবধূকে লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গেলে নৈশ
প্রহরী আয়নাল হক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন এবং ওই দুই যুবকের
পরামর্শ অনুযায়ী গৃহবধূকে বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে
রাখেন। পরে সোমবার রাত দশটার দিকে কামরুজ্জামান, শফিকুল ও নৈশ প্রহরী
আয়নাল জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তারা ধর্ষণের
শিকার গৃহবধূকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন এবং এ ঘটনার কথা কাউকে না বলার
জন্য হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগী তাঁর বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং
অভিভাবকদের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি জানান।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম
আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে ওই
তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও এক-দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশের
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য
ভুক্তভোগী গৃহবধূকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।