জনপ্রিয় ২ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রে নাম পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
উপজেলার কলাবাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি চারুচন্দ্র গাইন ও সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার বৈদ্য লিখিত এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রটি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে গত ১৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর কলাবাড়ি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কলাবাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার বৈদ্য বলেন, এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মনোনয়নে সাধারণ মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটেনি। জনপ্রিয় নন এমন একজনকে এখানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়নের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী কলাবাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি চারুচন্দ্র গাইন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কৃষ্ণ প্রসাদ মজুমদারের নাম কেন্দ্রে পাঠাননি। তিনি তারা ছেলে উৎপল বিশ্বাসসহ স্বজনদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, তার ছেলে উৎপল ও জামাতা কলাবাড়ি ইউপির বিভিন্ন লোকের কাছে এ বিষয়টি বলাবলি করেছেন। যাদের কাছে তারা এগুলো বলেছেন, তারাই আমাদের কাছে এটি ফাঁস করেছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে। তার এই বিতর্কিত ভূমিকার জন্য কলাবাড়ি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সাংগঠনিক ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা এটি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সবার নামই জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। এখানে আমি কোন স্বজনপ্রীতি করিনি। এমনকি কারো নাম বাদ দেয়া হয়নি। কেন্দ্র অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাসকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে আমরা কিছুই করার নেই। আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ কুৎসা রটাচ্ছে।