মাটি না ফেলেই রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে মাটি ভরাট দেখানোর অভিযোগ উঠেছে সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ও সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়ন আ"লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয় জনগণ ট্রাক্টরটি আটক করলে চালক পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের দুটি প্রকল্পের সাড়ে ৬ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন দেখাতেই এই অভিনব কায়দার আশ্রয় নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, রাতে হঠাৎ করে ট্রাক্টরের শব্দ শুনে আমরা ৭/৮ জন লোক ইউপি পরিষদের মাঠে যাই। সেখানে গেলে দেখা যায় একটি ট্রাক্টর দিয়ে ইউপি পরিষদের মাঠ চাষ করা হচ্ছে। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের সমান মাঠটি কেন চাষ করা হচ্ছে জানতে চাইলে ট্রাক্টরের চালক বলেন জলিল মেম্বার তাকে মাঠ চাষ করতে বলেছেন তাই সে চাষ করছে। পরে সেখানে নব নির্বাচিত কয়েকজন ইউপি সদস্য আসলে তারা জানান এখানে মাটি ভরাটের সাড়ে ৬ লাখ টাকার দুটি প্রকল্প ধরা আছে। যার সভাপতি হচ্ছেন সাবেক মেম্বার জলিল। তারা অভিযোগ করে বলেন মাটি না কেটে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি উর্বর করে মাঠি ভরাট দেখাতেই এই অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন জলিল মেম্বার। তাই তারা ট্রাক্টরটি আটক করে ইউপি পরিষদের গ্রাম পুলিশের নিকট জমা রাখেন। তবে ট্রাক্টরের চালক পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল জলিলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না, কে বা কাহারা ট্রাক্টর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ চাষ করছে জানা নেই। তবে পরিষদের মাঠ ভরাটের দুটি প্রকল্পের তিনি সভাপতি বলে স্বীকার করেন।
আদিতমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল হক জানান,ঘটনাটি আমি শুনেছি,বর্তমানে আমি বাড়িতে আছি।রোববার সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।