সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সুপার স্টার ফ্যান কারখানার শ্রমিক মো. শাহীন নামে এক যুবক ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সুইস গিয়ার চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবক টি এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মো. শাহীন উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট আলিপুরা শাহ্ ড্রাইং কোম্পানির সামনে এঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে মহাসড়কের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি। যদিও মহাসড়কে এ ধরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়।আহত মো. শাহীন জানান, কর্মস্থল থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে একা বাড়ি ফেরার পথে আলিপুরা শাহ্ ড্রাইং কোম্পানি এলাকা অতিক্রম করার সময় তিন ছিনতাইকারী তার পথ রোধ করে গলায় সুইস গিয়ার চাকু ধরে বলে, যা আছে সব দিয়ে দে। তিনি দিতে অস্বীকার করলে ছিনতাইকারীরা তার বিভিন্ন শরীরে আঘাত করে তাঁর এটিএম কার্ড, নগদ ৭শত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
চলতি বছরের ৩ নভেম্বর রাতে বাড়ি যাবার পথে রুহুল আমিন নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এমন দুর্বৃত্তের কবলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান চৌধুরী মার্কেটের মেসার্স বৈশাখী স্টোরের মালিক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন।
ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, তার সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। গেল ৩ নভেম্বর বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আমি দোকান বন্ধ করে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা যোগে বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি প্রাইভেটকার ভবেরচর বাস ষ্ট্যান্ড থেকে তার পিছু নেন।
যখন আব্দুল্লাহ পুর-বাউশিয়া সড়কের মাঝামাঝি আমি। ঠিক ওই সময় অটো রিকশাটি গতিরোধ করে ৫/৭ জন দুর্বৃত্ত রাম দা, চাপাতি নিয়ে আমাকে ঘিরে ধরে আর এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আমার সাথে থাকা নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে ভবেরচর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল বাবুল ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না জানান।