জামালপুরে সাংবাদিকদের পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়ার হুমকিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়ার হুমকী দিয়েছেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার(৪ডিসেম্বর) সকালে জামালপুরে সাংবাদিকদের সকল সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহরের দয়াময়ী চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে রাখে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার দাবি করে মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, গত শুক্রবার রাতে মাসব্যাপী নারী পুলিশ কল্যাণ (পুনাক) মেলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করার জন্য ডাকেন পুলিশ সুপার। এ সময় জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ১৯৭১এর ৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বকসিগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বৃৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী,তথ্য প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজমসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবগ আগমণের বিষয়ে নিয়ে অন্যকাজে ব্যস্ত থাকায় তারা উপস্থিত না হওয়ার কারণে পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধরে এনে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকী দেন। এ ঘটনায় জামালপুরে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপসারণের দাবী করে মানববন্ধ করেন।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ '৭১, জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশীদ, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হোসেন, সময় টিভির সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজু দৈনিক সচেতন কন্ঠের সম্পাদক বজলুর রহমান, পল্লীকন্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক নুরুল হক জঙ্গি, বাংলা ভিশনের জাহিদ হাবিব,সমকালের সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিন্টু,এসএ টিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহামী মাকাম, সাংবাদিক মুখলেছুর রহমান লিখন, সুলতান আলম, মাহফুজুর রহমান, শাহ জামাল প্রমুখ। জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের সঞ্চালনা মানববন্ধনে সাংবাদিকদের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।