ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় জাওয়াদ আতঙ্কে রয়েছে গোট উপকূলের সাধারন মানুষ। গভীর সাগরে থাকা শতশত মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আসতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে শতশত জেলে পরিবারগুলো।
সকাল থেকেই পাথরঘাটার উপকূলীয় এলাকার আকাশ মেঘলা থেকে গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছে দিনব্যাপী মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া, দুপুর থেকে বিকেল ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে শুরু করেছে,বেলা সাড়ে তিনটার পরে গুরি গুরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাতাস না থাকায় উপকূলীয় মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাগরে প্রচন্ড ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে শতশত ট্রলার গভীর সমুদ্রে থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারেনি। গভীর বঙ্গোপসাগরে শতশত মাছ ধরা ট্রলার আটকা পরায় দুশ্চিন্তায় পরেছে সাগরে থাকা জেলেদের পরিবার।
সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের ফারুক মাঝিসহ একাধিক পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের মাঝে এখন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাগরে থাকা জেলেরো কিভাবে তীরে ফিরে আসবে, আদৌ আসতে পারবেনা কিনা এমন সংকা কাজ করছে।
শনিবার রাতে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বহু ট্রলার এখন সাগরে অবস্থান করছে। কোন ঘাটেই কোন ট্রলার নেই। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আমরা যাদের মোবাইলে পেয়েছি তাদের নিরাপদস্থানে আসতে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোন ট্রলার ঘাটে আসতে পারেনি। এতে করে জেলে পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, আমাদের সকল রকমের প্রস্তুতি নেয়া আছে। সরকারের যথাযথ নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো।