কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও উপরের টিনের চাল বড় বড় ছিদ্র হওয়ার কারণে গত অর্ধ যোগ ধরে আগত যাত্রীরা আন্তনগর বিভিন্ন ট্রেন ও লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা দূর্ভোগ পোহাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। একটু বৃষ্টি হলেই প্ল্যাটফর্মের ভিতরে যাত্রীরা ভিজে ছন্ন ছাড়া হয়ে যান। এ অবস্থায় রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে যেন কোন মাথা ব্যথা নেই। প্রতিদিন সরারচর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তনগর এগারো সিন্দুর, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন হতে হাজার হাজার যাত্রী উঠা নামা করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহালেও যেন তাদের কোন তুয়াক্কা নেই। এসব আন্তনগর ট্রেনে শত শত যাত্রী ঢাকা ও কিশোরগঞ্জে আসা-যাওয়া করে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একেতো রেলওয়ের স্টেশনের বেহাল অবস্থা। অন্য দিকে এ রেলওয়ের স্টেশনের কাউন্টারে এসে টিকেট পাওয়া যায় না। যাও পাওয়া যায় কালো বাজারিতে একশত টাকার টিকেট তিনশত টাকায় মিলাতে গিয়েও যাত্রীদের অনেক সময় হিমসিম খেতে হচ্ছে। এসব চিহ্নিত কালো বাজারিদের বিষয়ে গত দুইবছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আফজাল হোসেন ব্যবস্থা নিলে কয়েক মাস কালো বাজারিতে টিকেট বিক্রি বন্ধ ছিল। পূর্নরায় সরারচর রেলওয়ে স্টেশনের অসাধু কর্মচারীদের কারণে পূনরায় আবার সেই কালো বাজারি চালু হয়েছে বলে অনেকে মনের কষ্টে এসব কথা বলেন। সরারচর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত চলতি দায়িত্ব স্টেশন মাস্টার মোঃ মিজানুর রহমান রোববার দুপুরে এপ্রতিবেদককে বলেন, অনলাইন থেকে টিকেট কিনে এচক্রটি কালো বাজারি করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। তিনি বলেন, এখানে তাদের কোন কিছুই করার নেই বলে উল্লেখ করেন।