রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিনই ইউনিয়ন গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নির্বাচনী দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ২৯ নভেম্বর তাঁদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ঝামেলা মিটে যাওয়ার পর প্রার্থীরা মূলত এখন নির্বাচনী কর্মী বাহিনী গোছাতে নেমে পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভিন্ন দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চারঘাট উপজেলার ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন বাছাইয়ে টিকেছেন। তাঁদের মধ্যে ছয় ইউপিতে আওয়ামী লীগের ছয়জন, জাতীয় পার্টির দুইজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চার ইউনিয়নে আ'লীগের আটজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে জমজমাট লড়াই হবে শলুয়া ইউনিয়নে। সেখানে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হবে আ'লীগ মনোনীত আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টি মনোনীত, বিএনপি সমর্থিত জিয়াউল হক মাসুম ও জামায়াত সমর্থিত আবুল কালাম আজাদের সাথে।
ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে আ'লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল মজিদ ও আ'লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুলের সাথে। সরদহ ইউনিয়নে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আ'লীগ প্রার্থী হাসানুজ্জামান মধু ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মতিউর রহমান তপনের সাথে। চারঘাট সদরে তিনজন প্রার্থী থাকলেও লড়াই হবে আ'লীগ প্রার্থী ফজলুল হক ও বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সাথে।
এদিকে নিমপাড়া ইউনিয়নে সাতজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও আসল লড়াই হবে আ'লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, বিএনপি সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস পলাশ ও আ'লীগ বিদ্রোহী সুজন আলীর সাথে। ইউসুফপুর ইউনিয়নে চারজন প্রার্থী থাকলেও লড়াই হবে আ'লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন ও আ'লীগ বিদ্রোহী আরিফুল ইসলাম মাখনের সাথে।
শলুয়া ইউনিয়নের জাপার প্রার্থী ইমরান আলী বলেন, ‘বাছাইপর্বটি শেষ। মার্কা পেলে ভালোভাবে নির্বাচনের কাজে নামব। এখন ওয়ার্ড-গ্রাম থেকে নির্বাচনী কর্মী বেছে বের করতে শুরু করেছি। গত পাঁচটি বছর আমি জনগণের সুখে-দুঃখে তাঁদের পাশে থেকেছি। সেদিক বিচার করলে জনগণ আমাকেই ভোট দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে সরদহ ইউনিয়নের আ'লীগ মনোনীত প্রার্থী হাসানুজ্জামান মধু বলেন, আমি ১০ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার আমলে সরদহ তে কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় এলাকায় রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সেতু নির্মাণ করেছি। ৭ তারিখ থেকে প্রচারণা শুরু করবো এজন্য গ্রামগঞ্জে নির্বাচনী কর্মী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিজের প্রচারণার কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি। চতুর্থ দফায় ২৬শে ডিসেম্বর চারঘাটের এ ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।