৮ডিসেম্বর জামালপুরের মেলান্দহ হানাদার মুক্তদিবস। ৭১’র এদিনে আলম কোম্পানির টু-আইসি (পরবর্তীতে সেঙ্গাপাড়া কোম্পানী) কমান্ডার আবদুল করিম; উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। মেলান্দহ থানার ওসি জোনাব আলীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ ৪৬ রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। প্রতিবছরের এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় মেলান্দহ হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপিত হবে।
পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মাহমুদপুর পয়লা ব্রিজে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর ব্রাশ ফায়ারে ১২ পাকসেনা এবং মুক্তিসেনা রমিজ, শহিদ সমরসহ ৮/১০ জন মারা যান। কলাবাধা হাই স্কুলের ছাত্র সহযোদ্ধা আবদুল কদ্দুসকে পাকবাহিনীরা নির্যাতন শেষে জামালপুর কালিরঘাটে হত্যা করে। এখবরটি তৎকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সম্প্রচারিত হয়। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চত্বরে গণকবর দেয়া হতো। ঝিনাই ব্রিজ, ৭ ও ৮নং রেলওয়ে ব্রিজে পাকবাহিনীর ৩টি ক্যাম্পে অনেককেই (টর্চার সেলে) নির্যাতন করেছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, মজিবুর রহমান ফারাজী, আসাদুল্লাহ, মানিকুল ইসলাম, রইচ উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুসসহ আরো কয়েকজনে ৮নং রেলওয়ে ব্রিজ ধ্বংস করেন। এটি ছিল জামালপুর শেরপুরের মধ্যে প্রথম সফল অপারেশন। যার খবরাখবর বিবিসিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।