অনুভূত হচ্ছে প্রতিদিন শীতের আমেজ। সেই সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতাও। সকালে ঘাসের ডগায় জমছে শিশির বিন্দু। সুর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার সাথে সাথে লাগে শীত শীত। গাছিরা খেঁজুর গাছ থেকে রস বের করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। গভীর রাতে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এ অঞ্চলের পথঘাট। ক্রমেই শীতের তীব্রতা বেড়ে চলছে। মধ্য রাত থেকে লেপ, কাঁথা, কম্বল গায়ে জড়ানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শহর ও গ্রামের লেপ তোষকের দোকানেগুলোতে কেনা-বেচা বেড়েছে। দিন রাত কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে ধুনকাররা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাদের পুরাতন লেপ, তোষক নিয়ে ছুটছেন ধুনকারদের কাছে। শহরের কাপড় ব্যবসায়িরা গরম কাপড়ের মজুদ গড়ে তুলছেন।
অপরপাশে জেলার জ্যাকেট তৈরীর কারখানায় চলছে পুরোদমে কাজ। পুরাতন কাপড় ব্যবসায়িরাও আমদানি শুরু করছেন। সৈয়দপুর হলো উত্তরাঞ্চলের পাইকারি বাজার। ফলে এ শহরে ওই সব গরম কাপড় বিক্রির জন্য রয়েছে সহ¯্রাধিক ছোট ছোট দোকান। বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যস্থল হলো সৈয়দপুর। আর এ শহরের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও খুলনার সাথে রয়েছে রেলপথ ও সড়ক পথের সুন্দর যোগাযোগ। এছাড়াও রয়েছে আমদানি ও রপ্তানীকারকদের জন্য সহজ যোগাযোগ সৈয়দপুর আঞ্চলিক বিমানবন্দর। আর এ সকল সুযোগ সুবিধার কারণে বানিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের সাথে উত্তরের ৮ জেলার ব্যবসায়িদের রয়েছে সুন্দরতম যোগাযোগ। ফলে এ শহরের পাইকারি বাজার থেকে রংপুর, দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁও,লালমনিরহাট, গাইবান্ধা,কুড়িগ্রাম,পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলায় পুরাতন গরম কাপড় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এবার শীত মৌসুমে গরম কাপড়ের বেচাকেনা কেমন হতে পারে তা এ মুহুর্তে কোন কাপড় ব্যবসায়ি মন্তব্য করতে পারছেন না। তবে লেপ, তোষক ব্যবসায়িরা জানান,এবার অনেক আগ থেকেই তাদের দোকানে শুরু হয়েছে লেপ, তোষক তৈরীর কাজ। গত বছরের চেয়ে এ বছর তাদের ব্যবসা ভালো হতে পারে এমন আশা করছেন তারা। কারণ জানতে চাইলে বলেন এবার ধান কাটামাড়াইয়ের ভরা মৌসুম। লোকজনের হাতে টাকা থাকবে। তাই এ পরিস্থিতি আশা করছেন তারা। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর শীতের প্রকোপ বেশী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।