রাজশাহীর পুঠিয়ায় ফার্মেসীগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় নামেন। অভিযানে চারটি ওষুধ ফার্মেসীতে বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কারণে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ প্রতিটি দোকান মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন। এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান করায় উপজেলা সদরের সকল ওষুধের দোকানদারা দুপুর থেকে দোকানঘর বন্ধ করে রেখেছেন। যার কারণে ওষুধ কিনতে আসা ভুক্তভোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা সদরে অবস্থিত ফাতেমা, গ্রামীণ, সেতু ও লাইফ কেয়ার নামের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। তাদের অর্থদন্ড দেয়ায়,সকল ওষুধ ব্যবসায়িরা সকাল ১২ টা থেকে দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। আবুল হোসেন নামের একজন রোগির অভিভাবক বলেন, পুঠিয়া উপজেলার সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী নিয়ে এসে ছিলাম। চিকিৎসক বিভিন্ন ওষুধ লিখে দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা সদরে কোথাও কোনো ওষুধের দোকান খোলা নেই। সব দোকানগুলো দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে। আমার মত অনেকে এসে বিভিন্ন দোকান গুলোতে ঘুরে যাচ্ছেন। উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মকলেছুর রহমান রাজু বলেন, কিছু দোকানের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দু-একটা থাকতে পাড়ে। তবে ব্যবসায়িদের উচিত ছিল ওই ওষুধগুলো সরিয়ে রাখা বা নিদিষ্ট স্থানে ফেলে দেয়া। একটি দোকানে সারা মাসে ২০ হাজার টাকা লাভ হয় না। এ ক্ষেত্রে মাত্রাতিক্ত টাকা জরিমানা করার কারণে, হয়তো অনেক ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাখছেন। কিন্তু জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে দোকান খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, পুঠিয়া সদরসহ উপজেলা জুড়ে ভেজাল ওষুধ বিক্রি হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষরা প্রতিনিয়ত ওষুধ বিক্রেতাদের দাদ্বায় ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হচ্ছেন। আজ প্রশাসন সঠিক কাজটি করেছেন। এই রির্পোট লিখা পর্যন্ত ওষুধ দোকানগুলো বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওষুধের দোকান গুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভির্তিতে আজ ওষুদের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো করা হয়েছে। অভিযানে ৪টি দোকানে বিভিন্ন প্রকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। সে কারণে তাদেরকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদ- করা হয়েছে। আর অর্থদন্ডের কারণে সকল ব্যবসায়িরা ওষুধ বিক্রি বন্ধ রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই।