বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত দু’দিনের বর্ষণে এলাকার বীজতলা ও অন্যান্য জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি অফিস ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণের জন্য তালিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকার চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বোরো ধানের বীজ তলা ও আমন ফসল, ডাল, গম, টমেটো ও অন্যান্য সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি প্রধান এ লাকার চাষিরা টমেটো ও অন্যান্য সবজি আবাদের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হলেও অসময়ের বৃষ্টিতে তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। অধিকাংশ জমিতে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন সেটি ভেবে পাচ্ছেন না তারা।
উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বোরো চাষি বাদল ভক্ত, বিমল বৈদ্য ও পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের নকুল মজুমদারসহ অনেক চাষি হতাশা ব্যক্ত করে জানান, তাদের বীজতলাসহ অন্যান্য সবজির ক্ষেত বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। কিভাবে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন ভেবে পাচ্ছেন না তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অসীম কুমার দাস জানান, এ বছর ৩ শ’২০ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণের জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে ১ শ’ ৭৩ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আমন আবাদ করা হয়েছে ৫শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে এর মধ্যে ১শ’ ৪৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরিষা ১শ’ ৬১ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১শ’ ২০ হেক্টর। খেসারী ডাল ১৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১শ’ ৯ হেক্টর। পাশাপাশি টমেটো ও অন্যান্য সবজির ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা নিরুপণের কাজ চলছে।