আসছে ২৬ ডিসেম্বর ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে ৪র্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরদ্দ পেয়ে প্রার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। মাঠে-ঘাটে, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকান, বাড়ীতে বাড়ী গিয়ে নিজ প্রতীকের সাথে পরিচয় করিয়ে ভোট ভিক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। প্রার্থীরা বিজয়ী হলে দেশ, সমাজ ও গ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন করবেন এমন প্রতিশূতি দিচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে কোন কোনান্তরে বিলি হচ্ছে লিপলেট। তবে এখন পর্যন্ত কোন সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি প্রার্থীদের প্রচারনা সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে। আচরণবিধি লংঘনের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
দলে দলে প্রার্থীর পক্ষে পাড়া মহালায় ভোট প্রার্থনায় নেমেছেন কর্মীরা। প্রার্থীরা নির্বাচনী অফিস নিয়ে বিস্কুট চা-সিগারেট আর নির্বাচনী গান বাজিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করছেন। ভোটারের মধ্যেও শুরু হয়েছে আনাগুনা। কে হবেন যোগ্য। কাকে ভোট দিলে দূর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়বেন বেছে নিবেন এমন জনপ্রতিনিধি। এদিকে সন্ধ্যা হলে থোকা থোকা শিশু বাহিনী চমলেট কিংবা বিস্কুট পেয়ে নেমে পড়ছে প্রচারে। যে প্রার্থী চকলেট কিংবা বিস্কুট দিবেন তাঁর প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েন।
গোহালবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার মোঃ রিপোন আলী বলেন, আগের চেয়ারম্যান ও মেম্বার টাকা ছাড়া কোন কাজ করেনি। যারা টাকা ছাড়া কাজ করবেন তাঁদের ভোট দিবো। চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা ভোটের জন্য আসছেন তবে ভেবে চিন্তে ভোট দিবো বলে জানান। দলদলী ইউনিয়নের ভোটার মোঃ গরিবুল জানান, সব জায়গাতে পোষ্টারে চেয়ে গেছে। সব জায়গায় ভোট ভোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভালো লোক দেখে ভোট দিবো। ভোলাহাট ইউনিয়নের ভোটার মোঃ এবাদুল বলেন, ভোটের সময় আরো এগিয়ে আসুক। কে কেমন জনসেবা করার অঙ্গিকার করছেন। দেখে-শুনে-বুঝে ভোট দিবো। ভোট নেয়ার সময় অনেক কথা বলেন পাশ করলে কেউ কথা রাখেন না।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মোট ১৭জন তাঁরা হলেন যথাক্রমে ভোলাহাট ইউনিয়নে মোঃ আবদুল খালেক(আ'লীগ) -নৌকা, মোঃ ইয়াজদানী আলীম আলরাজি জর্জ স্বতন্ত্র (বিএনপি) আনারস,মোঃ পিয়ার জাহান স্বতন্ত্র- (আলীগ বিদ্রোহী)-মটরসাইকেল, মোঃ মাহাতাব উদ্দিন-স্বতন্ত্র(বিএনপি)ঘোড়া, হাবিবুল্লাহ স্বতন্ত্র (জামায়াত) - চশমা।। গোহালবাড়ী ইউনিয়নে মোঃ ইয়াসিন আলী (আ’লীগ) নৌকা, মোঃ আবদুর রশিদ স্বতন্ত্র- ঘোড়া, মোঃ আলাউদ্দিন স্বতন্ত্র(আ’লীগ বিদ্রোহী) চশমা, মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র (বিএনপি) আনারস। দলদলী ইউনিয়নে মোঃ মোজাম্মেল হক চুটু স্বতন্ত্র(বিএনপি) চশমা, মোঃ আনিসুর রহমান (আ’লীগ) নৌকা, মোঃ আরজেদ আলী স্বতন্ত্র(আ’লীগ বিদ্রোহী) মটরসাইকেল, মোঃ আলাউদ্দিন স্বতন্ত্র (বিএনপি) আনারস, মোঃ মশিউর রহমান স্বতন্ত্র(বিএনপি) ঘোড়া। জামবাড়ীয়া ইউনিয়নে মোহাঃজগলুল হক স্বতন্ত্র( বিএনপি) চশমা, মোঃ আফাজ উদ্দিন স্বতন্ত্র(বিএনপি) আনারস, মোঃ পিয়ারুল ইসলাম (আ’লীগ) নৌকা। ৩৬টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ১’৬৬জন সাধারন সদস্য পদে এবং ১২টি মহিলা সংরক্ষণ পদে লড়ছেন ৬৮জন।
উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭৯হাজার ৫৫৪জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৮হাজার৯৭০ মহিলা ৪০হাজার ৫৮৪জন। ভোলাহাট ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২হাজার ৭৫৯জন। পুরুষ ১১হাজার ১১৯জন মহিলা ১১হাজার ৬৪০জন। গোহালবাড়ী ইউনিয়নে মোট ভোটার ২০হাজার ৭০১জন। পুরুষ ১০হাজার ৭৩জন মজিলা ১০হাজার ৬২৮জন। দলদলী ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২হাজার ৯৮৩জন। পুরুষ ১১হাজার ৩০২, মহিলা ১১হাজার ৬৮১জন। জামবাড়ীয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৩হাজার ১১১জন। পুরুষ ৬হাজার ৪৭৬জন, মহিলা ৬হাজার৬৩৫জন।