অবশেষে শেরপুর গারো পাহাড়ের বনে হাতির
অভয়ারণ্য হচ্ছে। এই অঞ্চলে বছরের পর বছর ধরে চলছে হাতি ও মানুষের
দ্বন্দ্ব ।এই দ্বন্দ্বে সরকারি হিসেবে গত ১৯ বছরে এখানে ৫৮ জন মানুষ ও
৩২টি হাতি মারা গেছে। গত নভেম্বর মাসে ১৯ দিনের ব্যবধানে দুইটি হাতির
মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ১৯ বছরে আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ ও অন্তত ৫০টি হাতি।
কোটি কোটি টাকার ফসল গেছে হাতির পেটে। বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ করতে
স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে। এই অঞ্চলে
হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে ও জানমাল রক্ষা করতে সরকারি বেসরকারিভাবে
কোটি কোটি টাকার নানা প্রকল্পও কোনো কাজে আসেনি। দিনদিন বেড়েই চলছে হাতি
ও মানুষের মৃত্যু। তাই হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার চাইছে হাতির
জন্য অভয়াশ্রম করতে। এই অভয়ারণ্যের জন্য ইতোমধ্যে জরিপ কাজ শুরু করেছে
সরকার। এ ছাড়া সীমান্তের পাহাড় ও বনে হাতি-মানুষের সহাবস্থানের জন্য নানা
পরিকল্পনার গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার মধুটিলা
রেঞ্জ এলাকায় মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে জনসচেতনতা মূলক সভায় প্রধান বন
সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী এসব তথ্য জানান। একই সভায় প্রধান অতিথি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন,
গত ২১ নভেম্বর বন্যহাতি হত্যা বন্ধের জন্য উচ্চ আদালতে এক রিট আবেদন করা
হয়েছে। রিটে সরকারের কাছে দ্রুত হাতি হত্যা বন্ধে প্রদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ
বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সে লক্ষ্যে আমরা বন্যহাতি হত্যা বন্ধে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ সময়
নালিতাবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন, সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ, মধূটিলা রেঞ্জের
রেঞ্জার আবদুল করিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।