রাজশাহী পুঠিয়ায় জন্ম সনদ সংশোধন করতে এসে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আগামী নতুন শিক্ষা বর্ষরে স্কুলে কলেজের সন্তানদের ভর্তি করার জন্য প্রতিটি অভিভাবকদের সঠিক জন্মসনদ জমা দিতে হবে। তাই তড়িঘড়ি করে জন্মসনদ ডিজিটাল করে নিতে হচ্ছে। এর আগে উপজেলার সব নাগরিকদের হাতে লিখা জন্ম সনদ ছিল। আবার অনেকের ডিজিটাল সনদে ভুল আছে। তা সংশোধন করতে হচ্ছে। নাসির উদ্দিন নামের ব্যক্তি অভিযোগ, তিনি গত এক সপ্তাহ থেকে সংশোধন করার জন্য ঘুরছেন। নাসিরের মতো প্রতিদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে হাজারো ভুক্তভুগি মানুষগুলো নামের বানান, জন্ম তারিখ ভুল সংশোধন করতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। আর জন্ম সনদ নিবন্ধন ও সংশোধন কাজে নিয়জিত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাদের সনদে ভুল রয়েছে তারা নিয়মনুযায়ী আবেদন করলে,তারা সংশোধন করে দেবেন। তবে সার্ভারের গতি কম হওয়ায় কারণে সংশ্লিষ্টদের বিড়ম্ভনায় পড়তে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা সূত্রগুলো বলছে, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস আসলে, নতুন জন্মসনদ প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এর মধ্যে অধিকাংশ আসেন, জন্ম সনদ সংশোধন করাতে। বর্তমানে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদিন গড়ে ৬ শতাধিক নতুন ও সংশোধনী আবেদন পড়ছে। ইউনিয়নের উদ্যােক্তারা বলছেন, নতুন জন্ম সনদ বা সংশোধিত সনদ সকল বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমরা শুধু অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া করে দিচ্ছি। বাকি কাজ ইউএনও স্যারের অধিনে থাকা একজন কর্মকর্তা দেখভাল করছেন। উপজেলার ছয় ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার এলাকধিক মানুষের অভিযোগ, নামের ভুল সংশোধন করাতে কয়েক সপ্তাহ থেকে তারা ঘুরছেন। সরকারের নির্ধারিত ফ্রিসহ সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। আবার বেশি টাকা দিলে, ডিজিটাল সংশোধন করলে ইউপি উদ্যোক্তাদের সার্ভারের গতি কখন বেশি হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস বলেন, জন্ম সনদের নাম সংশোধনের বিষয়ে তেমন কোনো জটিলতা নেই। তবে কারো জন্ম তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু যাচাই-বাছাই প্রয়োজন হয়। আর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা টাকা ছাড়া কাজ করছে না এমন অভিযোগ এখনো পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে দোষিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।