পীরগঞ্জে সুরানন্দপুর গ্রামের স্বল্প মূল্য কৃষকদের সেচ পাম্পের মাধ্যমে কৃষকের সেচ নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়াধীন ভাসমান সেচ পাম্পের মাধ্যমে হাজারো কৃষক স্বল্প মূল্যে আবাদের স্বপ্ন বুনছেন। এতে করে করতোয়ার বালুচরে তাদের পতিত জমি চাষবাদ করে লাভবান হতে পারবেন। উপজেলার চতরা ইউনিয়নে বাটিকামারী গ্রামের আব্দুর রশিদ মন্ডলের ছেলে জিল্লুর রহমান কৃষকদের কথা ভেবে উক্ত ইউনিয়নের সুরান্দপুর গ্রামের একটি ভাসমান সেচ পাম্পের আবেদন করেন উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন বহুমুখী কর্তৃপক্ষের নিকট। কয়েকমাস পুর্বের উক্ত আবেদনটি তদন্তের মাধ্যমে অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। জিল্লুর রহমান সুরান্দপুর গ্রামের বিধি অনুযায়ী ওই সেচ আওতাধীন জমি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে নিকট অফিসিয়াল ভাবে হস্তন্তর করেন। যাহার দলিল নং ১০১৫৫ জে এল নং ২৬০ দাগ ২১৭ খতিয়ান ১১২। অভিযোগ উঠেছে,একই গ্রামের আব্দুস ছালাম মন্ডের ছেলে ইছাহাক বর্নিত সেচ এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে দুইটি গভীর নলকূপ বসিয়ে কৃষকদেকদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এছাড়াও ইছাহাক পার্শবর্তী ব্যক্তি কে অযথা হয়রানি করার লক্ষে বিভিন্নস্থানে সাজানো অভিযোগও করেন। জিল্লুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি অসহায় কৃষকের কথা ভেবে ভাসমান সেচ পাম্পের আবেদন করি। যাতে কৃষক অল্প খরচে তার ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে আবাদ করতে পারে। তাছাড়া ওই স্থানে আমার এবং আমার প্রতিবেশীদের ৩০ একরেরও বেশি জমি রয়েছে। অই এলাকার কৃষক মোস্তফিজ রহমান, সাইদুর রহমান, শাহীন চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব,সোলাইমান বলেন ভাসমান সেচ পাম্প স্থাপন করা হলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে। আমারা কম টাকায় জমিতে পানি দিতে পারবো। উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী জামিরুল ইসলাম বলেন আমারা সুরান্দপুর গ্রামে ভাসমান সেচ পাম্পের কাজ অফিসিয়াল ভাবে এগিয়ে রয়েছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা উক্ত কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো।