কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় সীমান্তঘেঁষা উপজেলা ভোলাহাটে জেঁকে বসেছে ঠান্ডা। রাতে ও সকালে টুপটাপ করে ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালই বলছে জেঁকে বসেছে ঠান্ডা। এখানে জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ সাধ্য অনুযায়ী গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়। কেউ আবার গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরে বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে। এতে করে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নি¤œ আয়ের মানুষ। ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধ। বিপাকে পড়েছেন জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ।
অগ্রহায়ণের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। এ সময় সাধারণত এমন ঠান্ডা অনুভূত হয় না। অগ্রহায়ণের শুরুতে রাত গভীর হতেই কনকনে শীত কাঁথা কম্বল নিতে বাধ্য করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার পাশাপাশি ঝিরঝির শিশির কণায় মাটি ভিজে যাচ্ছে।
সর্বনি¤œ ১০ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। মধ্যরাত থেকে ভোরের সূর্যের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত সবকিছুই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকছে। ঘন কুয়াশার কারণে কর্মজীবি মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। এদিকে আগাম ঠান্ডার কারণে লেপ-তোষকের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। গত কয়েকদিন আগেও কারিগররা বসে দিন কাটিয়েছে। কয়েকদিনের ব্যাবধানে হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, কুয়াশা ও বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে গেছে। ঠান্ডার কারণে লেপ তোষকের চাহিদাও বেড়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে দোকানে কাজ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
রিক্সাচালক মোঃ আবুল হোসেন বললেন শীতের তীব্রতার কথা। গতবছরেও এ সময় এমন শীত লক্ষ্য করা যায়নি। এবছর অগ্রাহায়ন মাসের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা দেখা যাচ্ছে। শীত বেশি থাকলে রিক্সা নিয়ে বের হওয়া কষ্ট হয়ে যায়। তবুও পেটের দায়ে কাজে বের হতে হয়।
সবজী চাষি মোঃ এহসান আলী বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন সকাল সকাল সবজীর জমিতে যেতে হয়। কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। অতিরিক্ত কুয়াশা ও প্রচ- ঠান্ডা বাতাসের কারণে হাত পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। শীতের পোষাক বিক্রেতা মোঃ রমজান আলী বলেন, ঠান্ডার কারণে শীতের পোষাক ব্যাপকহারে বিক্রি হচ্ছে।