ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্য সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত নয়টার দিকে এ সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীসহ ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মজিবর রহমান তার ভাইপো রনি হাওলাদার ও নৌকার সমর্থক হারুন মীরকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অপর আহত নৌকার সমর্থক হাসান গাজী, হাসিবুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে আহত প্রার্থী মজিবর রহমানকে আমতলী উপজেলা হাসপাতাল থেকে বরিশাল রেফার করা হয়েছে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধার পর চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোর স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির কেরামতের সমর্থনে উঠান বৈঠক চলছিলো। বৈঠক শেষে প্রার্থী তার কর্মী বাহিনী নিয়ে নির্বাচনী অফিসে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলো। রাত নয়টার দিকে ওই অফিসের সামনের সড়ক দিয়ে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে যাচ্ছিলো বিএনপি সমর্থিত ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মজিবর রহমান। এ সময় কে বা কারা আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে ইট ছুড়ে মারে। এ সময় নৌকার সমর্থকরা বের হয় ওই মোটরসাইকেল আটকে দেয় এবং ইট মারার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইটের আঘাতে বাম চোখ ও কপালে জখম হয় প্রার্থী মজিবর রহমান। এ ছাড়া তার ভাইপো রনি ফকিরকে কুপিয়ে দুই পায়ের হাঁটু ও হাত মারাত্মক জখম করে। পাল্টা ধারালো অস্ত্রের হামলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ছেলে হাসিবুল ইসলাম ও নৌকার কর্মী হারুন মীর ও গোলাম মোস্তফা জখম হয়।
কলাপাড়া হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অনুপ সরকার জানান, রনি ও হারুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রেফার করা হয়েছে। আহত রনির পিতা মোতালেব হাওলাদার জানান, রোববার সকালে বরিশাল মেডিকেলে রনির অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি(তদন্ত) আসাদুর রহমান জানান, তারা ঘটনা শুনেই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তারা ঘটনা জেনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দাখিল করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।