‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত দেশের জনগণ’
এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে শেরপুরে নানা আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস
পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার (১২ ডিসেম্বর ) সকালে জেলা প্রশাসনের
আয়োজনে ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় জেলা কালেক্টরেট
চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে
পুস্পস্তবক অর্পণ করে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে জেলা কালেক্টরেট চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের
প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধন করেন হুইপ
আতিউর রহমান আতিক। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর
মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১২
ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল
বাংলাদেশের রূপরেখা ভিশন-২০২১ ঘোষণা করেন। তখন থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ
দিনবদলের যাত্রা শুরু। সেই যাত্রা শেষ হচ্ছে আজ। এখন ভিশন ২০৪১ ঘোষণা
করেছে সরকার। তিনি বলেন, সামনের দিনে এই অর্জন ধরে রেখে ডিজিটাল
বাংলাদেশকে ঘিরে আরও কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দেশে বিজয়ের
মাসেই চালু হচ্ছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি। যা তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে
ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অনন্য এক উচ্চতায়।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা
ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, শেরপুর প্রেসক্লাবের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মলয় মোহন বল ও হুইপ কন্যা সাদিয়া রহমান অপি। স্বাগত
বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর শেরপুরের প্রোগ্রামার
মোঃ তারেকুল ইসলাম।
সেমিনারে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তোফায়েল আহমেদসহ
প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলার আইসিটি উদ্যোক্তাগণ ও বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।