শেরপুরের নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান কাটা মাড়াই প্রায় শেষের পথে। আমন চাষীরা ভালো দামে ধান বিক্রি করে খুশিতে আটখানা যেন কৃষক কৃষানীর ঘরে হাসির বন্যা বইছে। কৃষকরা জানান চলতি রোপা আমন মৌসুমে আগাম জাতের ব্রি-ধান-৭১,৭২,৭৫,১৭ রোপন করে ভালো ফলন পেয়েছে। এ জাতের ধান আগেই কাটা হয়েছে। ফলনে ২০শতক জমিতে ধান হয়েছে প্রায় ৮ মন। বাজারের প্রতিমন ধানের দর বর্তমানে ১ হাজার টাকার ওবেশি। এ হিসেবে ধান বিক্রি করে কৃষকরা পাবেন ৮হাজার টাকারও বেশি রোপা আমন ধান আবাদ করতে গিয়ে জমি তৈরি,বীজ সার ও কীটনাশক বাবদ খরচ হয়েছে ৩হাজার টাকার মত। কৃষকরা আরো জানান এবার রোপা আমন ধানের ফলন গত কয়েক বছরের চেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। এমনকি ধানের দরও ভালো পেয়েছি। চরাঞ্চলে সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে এ এলাকার কৃষকরা সবজি জাতীয় ফসলের চেয়ে ধান চাষেবেশি ঝুঁকে পড়েছে। কেননা একদিকে পরিবারের খাওয়ার খোরাক উঠছে অন্যদিকে আর্থিক ভাবে লাভবানও হচ্ছে। তাই এবার চাষীরা রোরো বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদুল ওয়াদুদ জানান এবার নকলা উপজেলায় ১২ হাজার ৩ শ ৯০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে। আগাম ব্রি-ধান ৭১, ৭২, ৭৫, ১৭ এর পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের আমন ধান আবাদ করেছে কৃষকরা। নকলা বাজারের ধান ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান বর্তমান বাজারে মোটাধান ১ হাজার টাকা, তুলশিমালা ১হাজার ৬শ ৫০টাকা থেকে ১হাজার ৬শ ৭০টাকা ,পাইজাম ১হাজার৩শ টাকায় বিকিকিনি হচ্ছে। সর্বোপরি এ এলাকার আমন চাষীদের আমন ধান বিক্রি করে চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।