গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চরবেষ্টিত এলাকা হলদিয়া ও সাঘাটা ইউনিয়ন। এ দুই ইউনিয়নে নৌযান থেকে নেমে দির্ঘ বালুময় পথ পাড়ি দিতে হয়। অন্য যানবাহন চলে না। কোন কেন্দ্রে পৌঁছতে দুটি, আবার কোন কেন্দ্রে পৌঁছতে তিনটি শাখা নদী সহ মুল যমুনা পাড়ি দিয়ে ভোট কেন্দ্র গুলোতে পৌঁছতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এসব এলাকায় ভোটকেন্দ্র গুলো ঝুঁকিপুর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁপুর্ণ হলদিয়া ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে কিছু প্রার্থীর জে¦ারজবদস্তি মুলক নানা কর্মকা- ভাবিয়ে তুলেছে অন্যন্য প্রার্থীদের। চরম ঝুকিপূর্ণ ভোটকে›ন্দ্র গুলোতে জে¦ার করে ভোট মেরে নেওয়ার শঙ্কা করছেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী মোছা: তারা বেগম। ভোট গ্রহনের দিন সহ তার আগে থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এই প্রার্থী।
জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ও সাঘাটা ইউনিয়নের চর এলাকা গাড়ামাড়া, সিপি, উত্তর দিঘলকান্দি, দক্ষিণ দিঘলকান্দি এলাকা চর এলাকায় অবস্থিত। ছোট শাখা নদী সহ মুল যমুনা পাড়ি দিয়ে এসব এলাকায় যেতে হয়। এলাকা গুলোতে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকেও। এরমধ্যে হলদিয়া ইউনিয়নের ৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ড দর্গম চর অঞ্চলে অবস্থিত। যেখানে নৌপথ ছাড়া সহজ যোগাযোগ নেই। এ সুযোগ নিয়ে কিছু প্রার্থী ভোট কেন্দ্র্র গুলো তাদের নিজ দখলে নিয়ে জোরপূর্বক বিজয়ী হবেন ভেবে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় ৭নং ওয়াডের্র উত্তর দীঘলকান্দি সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়, ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দীঘলকান্দি হিফজুল কোরআন নুরানি মাদ্রাসা ও ৯নং ওয়ার্ডের গাড়ামারা সিপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র গুলোতে সুষ্ঠ ভোট গ্রহণ করার জন্য সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ওই প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী মোছা: তারা বেগম বলেন, আমার এলাকার পরিবেশ ভাল দেখছি না। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট যাকে ইচ্ছে তাকে দিবে। ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যেন কোন প্রার্থী ভোট নিতে না পারেন, সেজন্য ইউএনওর নিকট অভিযোগ দাখিল করেছি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান, এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজিবি মেতায়েন সহ নিরাপত্তার জন্য আমরা ইসিতে আবেদন করেছি। সমস্যা হবে না আশা করি। ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহীনের সাথে কথা বলতে একাধিক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।