দিনাজপুরের খানসামায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই জা। ভোটের মাঠে দু’জন আলাদা প্রতীকে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরছেন। দিন শেষে ফিরছেন নিজ নিজ বাড়িতে। দুই জা হলেন- শ্রী নয়নী রানী দাস লক্ষীকèান্ত দাসের সহধর্মিনী এবং শ্রীমতি স্বরঞ্জলী রানী লক্ষীকèান্ত দাসের আপন ছোটভাই বিষু চন্দ্র দাসের সহধর্মিনী। আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৫নং ভাবকী ইউনিয়নে আপন দুই ভাইয়ের স্ত্রী সংরক্ষিত-১ (১, ২ ও ৩) নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শ্রী নয়নী রানী দাস ক্যামেরা ও শ্রীমতি স্বরঞ্জলী রানী সুর্যমূখী ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নয়নী রানী দাস ও স্বরঞ্জলী রানী দু’জনই নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পারিবারিক বিদ্র্রোহী প্রার্থী হয়ে দুই জা-ই প্রার্থী হয়েছেন। প্রথমে দু’জনই ভেবেছিলেন তাদের মধ্যে সমঝোতা হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাই দু’জনই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হন। আস্থা রাখেন ভোটারদের ওপর। নিজের গ্রহণযোগ্যতার বিচারের ভার ছেড়ে দেন ভোটারদের হাতে। দুই জা-ই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। উভয়েই নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। আপন দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের ভোটযুদ্ধ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতুহল। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কে বসবেন চেয়ারে? বড় জা-ছোট জা নাকি অন্য কোন প্রার্থী। আত্মসম্মানের এ লড়াইয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কটা যেন আপাতত আপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একই ওয়ার্ডে দুই জায়ের ভোটযুদ্ধ দেখতে ভোটাররা বেশ উৎসুক। তাদের বাইরে এ আসনে সদস্য পদে আরো ৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বরঞ্জলী রানী বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে বেশ আগে থেকেই মাঠে গণসংযোগ করছিলেন। তখন নয়নী রানীর নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ ছিল না। পরে সেও নির্বাচনে প্রার্থী হন। এখন ভোটাররাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
নয়নী রানী বলেন, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে আগে থেকেই নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। পরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় দু’জনেই প্রার্থী হয়েছেন। দুই জায়ের নির্বাচনী যুদ্ধ এবার এলাকাবাসীর মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।