আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে আপন দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই ইউনিয়নের ৩ বারের চেয়ারম্যান বড়ভাই আলহাজ মো. আবদুল জব্বার শাহ্ আনারস এবং ছোটভাই শাহ্ মো. জামালউদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুইভাই-ই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী ময়দান। উভয়েই নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে ভোটযুদ্ধ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কে বসবেন চেয়ারম্যানের চেয়ারে? বড়ভাই-ছোটভাই নাকি অন্য কোন প্রার্থী। বংশ পরম্পরায় এ পরিবারের উপজেলায় বেশ সুনাম রয়েছে। আত্মসম্মানের এ লড়াইয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কটা যেন আপাতত আপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকাবাসী জানান, ছোটভাই অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) শাহ্ মো. জামালউদ্দিন জেদের বশবতী হয়ে এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি। একই পরিবার থেকে দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া প্রতিবেশিরা।
৩ বারের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আবদুল জব্বার শাহ্ এবং অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) শাহ্ মো. জামালউদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মো. আবদুল জব্বার শাহ্ ৩ (তিন) বার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গতবার নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ্র সাথে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
আব্দুল জব্বার শাহ্ জানান, ‘আমি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকাবাসীর চাপে এবারও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’ তিনি আরো জানান-ছোট ভাই শাহ্ মো. জামালউদ্দিন ইতিপূর্বেও একবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারেও প্রার্থী হয়েছেন।
এছাড়াও এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ্ (নৌকা) ও মো. আবুল কালাম আজাদ (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিকরুল ইসলাম জানান, এ ইউনিয়নে দুই ভাই ছাড়াও ২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২১ হাজার ৮৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৩৫ এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ৭৯৫ জন। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।