জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর,মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর থেকে পাচঁবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য বর্ষীয়ান নেতা মরহুম অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী । এ উপলক্ষে মন্ত্রীর পরিবারবর্গ সবার কাছে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন। এবং পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামের বাড়ি পূর্বভাগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতনামা আইজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ১৯৪২ সালে ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে জম্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা মরহুম সুন্দর আলী। মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের ঘনিষ্ট সহযোগী এবং ৬৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভিপি নিবার্চিত হন। ১৯৬৮ সালে এম এ (অর্থনীতি) ও ৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের টিকেটে নাসিরনগর আসন থেকে সংসদ সদস্য নিবার্চিত হয়েছেন। ১৯৮৬ সালের নিবার্চনে পরাজিত হয়েছেন। ১৯৯৬ ,২০০১ ও ২০০৮,২০১৪ সালের নিবার্চনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য নিবার্চিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। আওয়ামী লীগের এ বর্ষীয়ান নেতা এর আগে খাদ্য,দূর্যোগ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।এছাড়াও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ ছায়েদুল হক মৎস্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে নাসিরনগরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।