বাঙালি জাতির বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন বিজয় দিবস। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার নাম মহান ১৬ই ডিসেম্বর। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন আজ। তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় বাগেরহাটের চিতলমারীতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে চিতলমারী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। এরপর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, নির্বাহী অফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খান, সাধারন সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইসএম কামরুজ্জামান সহ বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের লোকজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৯ টায় স্থানীয় ফায়জুল হক সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, রোভার স্কাউট, গালর্স গাইড এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী,কাবাডি প্রতিযোগীতা,স্বাধিনতার সুবর্নজয়ন্তীও মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠান প্রদর্শন, প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনার মধ্যদিয়ে দিবসটির সমাপ্তি হয়।