সরাইলে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহাস বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এবারের বিজয় দিবসে সরাইলের মুক্তিযোদ্ধারা নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও বিটঘর বধ্যভূমিটির দ্রুত আনুষ্ঠানিক উদ্ধুধন দাবী করেছেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫৫ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরাইল সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সরাইল প্রেসক্লাব, এনজিও ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকাল ৮টায় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। পরে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষার্থী, স্কাউটস্, গার্লস্গাইড কাবদলের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় উপজেলা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. আনিছুর রহমান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাসরিন, অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, আ.লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, আ.লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন, সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছালাম, আ.লীগ নেতা মাহফুজ আলী, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান। বক্তারা জাতীর সূর্য সন্তান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। জীবিত ও মৃত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া করা হয়। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর সৌন্দর্য বর্ধনকৃত বিটঘর বধ্যভূমি ও সরাইল উপজেলায় দুই বছর আগে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটির উদ্ধুধন আটকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওঁনারা রাজনৈতিক মত পার্থক্য ভুলে সরাইলের স্বার্থে দ্রƒত এ দুটির উদ্ধুধন কাজ সম্পন্ন করার জোর দাবী জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আগামী প্রজন্মের কয়েকজন শিশু মঞ্চে ওঠে মুক্তিযোদ্ধারে ছালাম জানায়। এর আগে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হাসপাতাল এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। বিশেষ আলোচনা সভা ত্রিতালের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও মোনাজাত হয়েছে। বিকেল ৪টার পর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তি ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়েছে।