কসবা পৌর সদরের পুুরাতন বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গত ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে প্রায় ২০টি দোকান। দমকল বাহিনীর চারটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের দাবী এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে দমকল বাহিনীর লোকজন ধারণা করছেন।
উপজেলা প্রশাসন, দমকল বাহিনী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে; বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয়, জয় হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রিক দোকানে রং ও কেমিক্যাল থাকায় মুর্হুতের মধ্যেই আগুন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনে পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডার, রং এবং কেমিক্যালের ড্রাম একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। এতে মুতি মিয়া মার্কেট, মৌলভী রহমত উল্লাহ মার্কেটসহ আরো কয়েকটি মার্কেটের প্রায় ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টায় কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস থেকে দমকল বাহিনীর দু’টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। পরে রাত ১০টার দিকে আখাউড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আরো দুইটি দমকল বাহিনীর ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। তাদের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন, পুলিশ এগিয়ে আসে। রাত সাড়ে ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় রাতেই কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী ও কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কসবা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার আবদুল কাদির বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে তিনি ধারনা করছেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম গত শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, আগুনে পুড়ে কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগুন লাগার সূত্রপাত খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।