সরাইলে সড়ক ট্রাক ও সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়কে প্রাণ গেল ৩ শ্রমিকের। নিহতরা হলেন জনা মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫), শান্ত মিয়ার ছেলে মাহফুজ মিয়া (৩২) ও আক্কাছ আলীর ছেলে আমজাদ আলী (৩০)। সবার বাড়ি শাহবাজপুর গ্রামে। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর বৈশামুড়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরো ২ জন। হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহতরা সকলেই বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করত। তারা প্রতিদিন ভোরে বাড়ি থেকে গিয়ে সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় আবার ফিরে আসত। অন্যান্য দিনের মত শুক্রবার ভোরে শাহবাজপুর থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠে ৫ জন ইটভাটার শ্রমিক। তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বৈশামূড়া এলাকায় যাওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি আন্তজেলা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। বিকট শব্দে দুমড়ে মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৩ শ্রমিক। আহত হয় খেজুর মিয়া (৪৫) ও কামাল মিয়া (৪০) নামের আরো ২ শ্রমিক। খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছেন। স্থানীয় একাধিক লোক বলছেন, মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চলাচলের উপর অনেক আগেই নাকি সরকার নিষেধাঞ্জা জারী করেছেন। তারপরও এ গুলো মহাসড়কে চলছে কিভাবে? এরপর অধিকাংশ অটোরিকশার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর নেই। চালকের লাইসেন্স নেই। তারপরও এ গুলো কার হুকুমে ও ইশারায় চলে। কথিত কতিপয় সাংবাদিককেও দেখায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে অটোরিকশা পাহারা দিতে। এ গুলোর কারণ কি? হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল আলম দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাক ও অটোরিকশা দুটোই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।