ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় নির্বচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলার ব্যপক অবনতীঘটেছে।গত শুক্রবার সন্ধায় পৌসভার কবিরপুর পুর এলাকায় রাব্বী ও স্বপন নামের ২জনকে এলোপাতারী ভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়। এছাড়াও শুক্রবার রাতে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় ৮টি মটর সাইকেল আগুনদিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ও বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শ ম জুলফিকার কায়ছার টিপু শুক্রবার সন্ধ্যায় সাহাবাড়িয়া গ্রামের মৃত গফুর মন্ডলের জানাজা শেষে কাতলাগাড়ী বাজারে আসার সময় কৃত্তিনগর গুচ্ছ গ্রামে পৌঁছালে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুনের সমর্থকরা তাদের উপর হামলা করে। হামলায় সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শ ম জুলফিকার কায়শার টিপু সহ ১৫ ব্যক্তি আহত হয় এবং ৮ টি মটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং তিনটি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাত নয়টার দিকে টিপুর সমর্থকরা প্রতিপক্ষ মামুনের সমর্থকদের কেশনগর গ্রামে হামলা চালায় এতে গিয়াস উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, হোসাইন মেম্বর, রমজান আলী, সানু শেখ, রবিউল ইসলাম,ফরিদ হোসেন, নজির উদ্দিন, মিঠু, খোকন, আলমগীর হোসেন ও মুরাদ হোসেন সহ ১৫ জনের বাড়িঘর ভাংচুর ও করা হয়। এ সময় আজিরন নেছা, বাবু, মুক্তার হোসেন আহত হয়। এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন জানান, কাতলাগাড়ী বাজারের দিকে কি হয়েছে আমি জানিনে অতর্কিতে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী টিপুর সর্মথকরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর টিভি,ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং লুটপাটসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। বিধবা সুমি বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমার কোন পুরুষ সন্তান নাই নির্বাচনের কারণে আমার ঘর ভেঙ্গেসব মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে হামলা কারিরা। সংসার চালাব কি ভাবে। আমি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শ ম জুলফিকার কায়সার টিপু জানান, আমি সাহাবাড়িয়া গ্রামের মৃত গফুর মন্ডলের জানাজার নামাজ শেষ করে কাতলাগাড়ি বাজারে আসার সময় পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানপ্রার্থী মামুনের সমর্থকরা আমার উপর হামলা করে ৮টি মটর সাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও ৪/৫টি মটর সাইকেল নিয়ে যায় এবং আমিসহ আমার সাথে থাকা প্রায় ১৫ব্যক্তি আহত হয়। তার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন জানান,নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে সতন্ত্রপ্রার্থী টিপুর সমর্থকরা আমার গ্রুপের প্রায় ৫০জন লোকের বাড়িঘর ভাংচুরও মালামাল লুটপাট সহ ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এছাড়াও গত ১৪ তারিখে কাতলাগাড়ী বাজারে তিনটি মটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয় ও ৮ জনকে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এবাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সহিংসতা ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেস্টা অব্যাহত আছে। বর্তমানে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।