আজ ১৮ডিসেম্বর (শনিবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় বাগেরহাটের শরণখোলা হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শোভাযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের স্মতিচারণ মূলক আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
পরে শরণখোলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন প্রবাসী সকারের নিয়োগকৃত ৯নম্বর সেক্টরের গেরিলা দলনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আফজাল হুসাইন, যুদ্ধকালিন ইয়ং অফিসার ও স্টুডেন্ট ক্যাম্প কমান্ডার মো. হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ খালেক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, সাবেক ডাকসু নেতা আবদুল হক হায়দার, শ্রমিকলীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আলী, কৃষকলীগের সভাপতি এম ওয়াদুদ আকন প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মনিরুজ্জামান লিটন। সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতায় মো. মিরান, তাজনীন তানহা, মো. তাহসীন, আব্দুল্লাহ আলীম, উম্মে সাইমুম, মুনজিলা আক্তার সাওদা নামে ছয় শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সারা দেশে যখন বিজয়ের পতাকা পত পত করে উড়ছিল তখনও শরণখোলা হানাদার মুক্ত হয়নি। মুক্তিযদ্ধে ১৪ই ডিসেম্বর থেকে ১৮ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা ৫দিন রেজাকারদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধের পর ১৮ডিসেম্বর শরণখোলা হানাদার মুক্ত হয়। এ সম্মুখ যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান আসাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুপদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ শহীদ হন।