কসবা পুুরাতন বাজারের মৌলভী রহমতুল্লাহ ও আবদুল মন্নান মুতি মেম্বার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন গত ১৭ ডিসেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, আগুনের উৎপত্তিস্থল ও দোকান সমূহের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঠিকতা যাচাই করার লক্ষ্যে এই ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কসবা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কসবা জোনাল অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে কিনা ও অবৈধ কোন সংযোগ আছে কিনা তাও যাচাই পূর্বক মতামতসহ তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত আকারে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এই অগ্নিকা-ে আনুমানিক ২ কোটি ২১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। তবে দোকান মালিকরা এই অগ্নিকা-ে ৩ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের খোঁজখবর রাখছেন। তাদের পুনর্বাসন এর জন্য অচিরেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, কুটি চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অত্যন্ত দুর্বল। এটাকে ১ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হলে অগ্নিকা-ে ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য গত ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় কসবা পুরাতন বাজারের মৌলভী রহমতুল্লা ও আবদুল মন্নান মুতি মেম্বার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকা- সংগঠিত হয়। এতে আগুনে প্রায় ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর চারটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে দমকল বাহিনীর লোকজন ধারণা করছেন।