পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এতে গাজনার বিলে মাছের অভাব দেখা দিতে পারে বলে বিলপাড়ের সচেতন লোকজন মনে করেন।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে ৭টি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে। বর্তমান সরকার গাজনার বিলকে মাছের নিরাপদ আবাস ভূমিতে পরিণত করার লক্ষে গাজনার বিল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওই ৭টি মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। বিলের পানি কমে গেলে মাছ ওই সকল অভয়াশ্রম গিয়ে আশ্রয় নেয়। চলতি শীতের মৌসুমে বিলের পানি কমে যাওয়ায় রুই, কাতলা, মৃগেল, শোল, শিং, বান, বোয়াল, কই এবং পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ওই অভয়াশ্রমে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে ওই অভয়াশ্রম থেকে মাছ নিধন করছে। বিলপাড়ের বাদাই গ্রামের ফজলুল হক বলেন বর্ষা মৌসুমে অভয়াশ্রমে জন্ম নেওয়া মাছই গাজনার বিলে মাছের প্রধান উৎস্য। অথচ প্রতিদিন এক শ্রেণির মৎস্যজীবী অভয়াশ্রম থেকে মাছ নিধন করছে। একই এলাকার বাসিন্দা জিলাল উদ্দিন বলেন বর্ষা মৌসুমে বিলে নতুন পানি আসামাত্রা গোটা বিল অভয়াশ্রমে জন্ম নেওয়া মাছে ভরে যায়। কিন্তু এ বছর অভয়াশ্রম থেকে যেভাবে মাছ শিকার করছে তাতে আর বর্ষা মৌসুমে বিলে মাছ পাওয়া যাবেনা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন আমি খবর পেয়েছি মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে মাছ নিধন করা হচ্ছে। শিগগিরই বিলে অভিযান চালিয়ে মাছ নিধন বন্ধ করা হবে।