ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একতলা পাকা ভবনের ভিত্তি প্রস্থর কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে নাসিরনগরে ৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন পাকা ঘর।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ভলাকুট গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ চন্দ্র দাসের ঘরের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন,সহকারী কমিশনার ভূমি মেহেদী হাসান খান শাওন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গুনিয়াউক ইউপি‘র নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া,ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া,ভলাকুট কেবি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আতাউর রহমান গিলমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক চন্দ্র দাস,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়,সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু,প্রচার সম্পাদক লতিফ হোসেন,উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রায়হান আলী ভূইয়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা,বীরাঙ্গনা,শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা,প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য একতলা বিশিষ্ট পাকাঘর তৈরি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ২টি বেড রুম,১টি ড্রই রুম,১টি রান্নাঘর ও ১টি বাথরুম বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবনের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স শাপলা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিটি একতলা বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা।
এর আগে বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের রানিয়াচং আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন ও তাদের খোজঁখবর নেন।