কেন্দ্রী আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক বিলুপ্ত খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে তৃর্ণমুলের ৫০ জন ত্যাগী যুবলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর পরপর তিনটি অভিযোগ জমা দিয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, বর্ণাঢ্য সম্মেলনের মাধ্যমে ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি এস এম শামসুর রহমানকে সভাপতি এবং কাজল কান্তি বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠন হয়। ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা যুবলীগ ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। দীর্ঘদিনের ত্যাগি পরীক্ষীত নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে দলে অনুপ্রবেশকারী, নব্য এবং মাদকসেবিদের নিয়ে শেখ আনিসুর রহমান কে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে। প্রেস কমিটি প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনা হয় দলীয় ফোরামে। উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি কোন সম্মেলন ছাড়াই ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নতুন কমিটি ঘোষণা করে। রাতারাতী কমিটি ঘোষণা হলে ব্যাপক সমালোচনা পর একই বছর ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শেখ আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। সেখন থেকে যুবলীগের কোন কমিটির কার্যক্রম নেই বল্লেও চলে। গত ২৯ নভেম্বর খুলনা জেলা যুবলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মিটিংয়ের আগামী ২২ জানুয়ারি জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নড়ে চড়ে বসে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বিলুপ্ত সেই পাইকগাছা উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিতর্কিত নেতারা। ইতোমধ্যে গত ৫ ডিসেম্বর পাইকগাছার দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর উপস্থিতে একটা বর্ধিতসভা করে। ওই বর্ধিতসভায় সাবেক যুবলীগ নেতৃবৃন্দের দাওয়াত না দেয়ায় ৬ ডিসেম্বর তৃর্ণমুলের ত্যাগী যুবলীগ নেতৃবৃন্দ অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা সম্মেলন সফল করার জন্য আলাদা একটা মতবিনিময়সভা করে। বর্ধিতসভার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সেই বিলুপ্ত কমিটির নেতারা মিটিং করতে দেখা যাচ্ছে। বিতর্কিত উপজেলা সম্মেল প্রস্তুতি কমিটি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করায় ৫০ জন নেতা কর্মীর স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর পরপর তিনটি অভিযোগ জমা দিয়েছে উপজেলা যুবলীগের সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দরা। খুলনা জেলা যুবলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি আহ্বায়ক শেখ আনিসুর রহমান মুক্ত জানান, গত বছর কেন্দ্রীয় কমিটি উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত করার পর আমরা কোন কার্যক্রম করিনি। গত ২৯ নভেম্বর জেলা যুবলীগের বর্ধিসভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিক নির্দেশে আমরা উপজেলায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করেছি। জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল পাইকগাছা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।