উপজেলার দুই সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ওই দুই প্রধান শিক্ষক ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শাখা অনুমোদন না করেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) দুই শাখার তালিকা পাঠানো কারণে প্রধান শিক্ষকদের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রধান শিক্ষককের অদক্ষতার কারণে একদিন পর আজ রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও কসবা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় নামে একাধিক শাখা নেই। প্রতিটি শাখায় ৬০জন ভর্তির কথা থাকলেও প্রতিবছরই ৯০জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ভর্তি কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে কোন অনুমোদন না নিয়েই এ বছর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১২০ জন এবং কসবা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৯০জনের চাহিদা মাউশিতে পাঠানো হয়েছে। ওই চাহিদা মোতাবেক গত ১৫ ডিসেম্বর লটারীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। শাখা অনুমোদন না করে কেন অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাহিদা পাঠানো হয়েছে ফলাফলের দিনই জানতে চেয়ে দুই সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ উলম আলম। গত শনিবার থেকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও বিদ্যালয় দুটি কার্যক্রম শুরু করেনি। আজ রোববার থেকে তাদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছেন।
কসবা সরকারি উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক হুরুন্নাহার বেগম বলেন, তাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর ৯০জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু এ বছর ১২০জনের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল। এ কারণে ১২০জন ছাত্র ভর্তির জন্য নির্ধারিত হয়েছে। শাখা অনুমোদনের জন্য মাউশিতে আবেদন করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের নতুন ভবন এবং শিক্ষকও রয়েছে। ভর্তি কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর না থাকায় শনিবার ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি।
কসবা সরকারি বালিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা আক্তার বলেন, প্রতি বছরই ৯০জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এ বছরও ৯০জনের চাহিদা চেয়েছিলাম। ৯০জনই ছাত্রী সিলেকশন পেয়েছি। শাখা অনুমোদনের জন্য মাউশিতে আবেদন করেছি।
ভর্তি কমিটির সভাপতি কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। প্রধান শিক্ষকদের অদক্ষতার কারণে তারা ভর্তি করেনি। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে একটি শাখায় ৬০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার কথা। কিন্তু শাখা অনুমোদন না করেই দ্বিগুন শিক্ষার্থীর ভর্তি চাহিদা মাউশিতে পাঠিয়েছে বিদ্যালয় দুটির প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি মাননীয় আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয় দুটির প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। দুই প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে তারা জবাব দিয়েছেন। যারা ভর্তির জন্য অনুমতি পেয়েছেন তাদেরকে ভর্তি করা হবে। শাখা অনুমোদনের জন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দিবেন।