মণিরামপুরে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় দু’টি ফার্ণিচার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ মালিক জানিয়েছেন। তবে অগ্নিকা-ে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পৌর শহরে দোলখোলা মোড়ে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে।
ব্যবসায়ী মহলসহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আগুনে দোকানে থাকা আসবাবপত্র, চিরাইকাঠ ও টিনের চালা পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ ঘন্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান দুটি হচ্ছে সুমন ফার্নিচার ও দীঘি ফার্নিসার। সুমন ফার্নিসারের মালিকের নাম সুমন বিশ্বাস। তিনি হাকোবা গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের ছেলে। আর দীঘি ফার্নিসারের মালিক তপন বিশ্বাস। তিনি ভগবান পাড়ার অমূল্য বিশ্বাসের ছেলে। পুড়ে যাওয়া দোকান দুটির অবস্থান পাশাপাশি। ক্ষতিগ্রস্তরা দাবী করেছেন, কেউ শত্রুতা করে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দাবী বৈদ্যুতিক শকসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী গীতা ঘোষ বলেন, দোকান দুটোর পাশেই আমার বসতঘর। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠি। এরপর বাইরে এসে দেখি সুমনের কাঠগোলায় আগুন জ¦লছে। এ সময় চিৎকার দিয়ে পাশের বাড়ি গিয়ে লোকজন ডেকে তুলি। তারপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
সাধন চৌধুরী বলেন, আমার পাশে সুমনের বাড়ি। দোকানে আগুন লেগেছে শুনে সুমনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় সুমনের দোকান আগুনে জ¦লছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগে সুমনের ফার্ণিচার গোলার পুরোটা আর তপনের ফার্ণিচার গোলার অর্ধেক পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী বলেন, সুমনের দোকানে কয়েকটি খাট পালঙ্ক বানানো ছিলো। রোববার সেগুলো সরবরাহ দেওয়ার কথা ছিলো। সুমনের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তপনের ক্ষতি সুমনের ছেয়ে কিছুটা কম।
তপন বিশ্বাস বলেন, আমার দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করছি পরিকল্পিতভাবে গোলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। দোকানের পিছনে জমি বিক্রি করবেন মালিক। আমাদের দু’দোকানের মাঝে দিয়ে পথ দেবে ক্রেতাকে। এজন্য ২-৩ মাস আগে আমাদের দোকান সরিয়ে ফেলতে বলেছে। আমরা সরাইনি। এতে কেউ শত্রুতা করতে পারেন।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন অফিসার প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ঘণ্টা খানেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। বৈদ্যুতিক শকসার্কিট থেকে এ আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।