ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ও সদরপুর এলাকার সাবেক সাংসদ, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ (৭৫) আর নেই। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
রোববার বিকেলে ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে ময়েজউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় ময়েজ মঞ্জিলে পারিবারিক কবরাস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
চৌধুরী আকমাল ইবনে ইউসুফ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (সদরপুর এবং চরভদ্রাসন) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০২ সালের উপ-নির্বাচন তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন।
ফরিদপুর জেলার সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আকমাল ইউসুফ। তার পিতামহ ছিলেন জমিদার চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিশ্বাস। তার পিতা ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়া ব্রিটিশ শাসনামলে বিশিষ্ট মুসলিম লীগ নেতা ছিলেন। তার চাচা চৌধুরী আবদ আল্লাহ জহিরউদ্দীন লাল মিয়া রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন এবং অপর চাচা এনায়েত হোসেন চৌধুরী পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তার ভাই মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
তার জানাজায় বিশাল জন সমাগম হয়, শুধু বিএনপি নেতা কর্মীরাই নন, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে যান অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক প্রফেসর এম এ সামাদ, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোদাররসে আলী ইছা, মরহুমের ভাই সাউদ ইউসুফ এবং ভাতিজী নায়াব ইউসুফ ও ভাতিজা ফারিয়ান ইউসুফসহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।
চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফের মৃত্যুতে ফরিদপুর সদর আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ.কে আজাদসহ বিশিষ্ট নাগরিকেরা শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।