অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে যায় সাতক্ষীরার প্রবীন সাংবাদিক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা ল কলেজের শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুন ব্যানার্জীর কফিন।
সাতক্ষীরা শহিদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে বরেণ্য এই সাংবাদিককে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) তাকে শ্রদ্ধা জানাতে কেউ আনেন একগুচ্ছ ফুল, ফুলের তোড়া আবার কেউ আনেন ফুলের ডালি।
প্রবীন সাংবাদিক অরুন ব্যানার্জীকে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। বিন¤্র শ্রদ্ধায় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
এর আগে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-সাতক্ষীরা জেলা শাখা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা শাখা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্য, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতি, জেলা মন্দির সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আ হ ম তারেক উদ্দীন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাবেক সভাপতি আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্যের আহ্বায়ক সুভাষ চৌধুরী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।
গার্ড অব অনার শেষে তাকে নেওয়া হয় সাতক্ষীরা জজ কোর্টে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান জেলা জজশীপের বিচারক ও আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এরপর তাকে সাতক্ষীরা পলাশপোল মহা শ্মশানে নেওয়া হয়। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. অরুন ব্যানার্জী রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ও সাংবাদিক হিসেবে সুখ্যাত অরুন ব্যানার্জীর মৃত্যুর খবরে সাতক্ষীরার আইনজীবী ও সংবাদকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি ছিলেন একজন সুলেখক। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা এবং অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।