রাজশাহীর পুঠিয়া বানেশ্বর হাটের কসাইখানার ময়লার ভাগাড় থেকে অপরিপক্ক বাছুর বের করেছে একদল কুকুর। স্থানীদের অভিযোগ রাতের আঁধারে কসাইরা একটি অসুস্থ ও গর্ভবর্তী গাভী জবাই করে তার মাংশ বিক্রি করেছে। আর এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বানেশ্বর বাজারের কসাইখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বানেশ্বর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেবের আলী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই হাটে কোনো গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। কসাইরা স্যানিটারি কর্মকর্তাকে মাসোহারা দেয়। আর কসাইরা নিজেরাই পশুর জবাইকৃত মাংসে সীল মারেন। যার কারণে এই হাটে মাঝে মধ্যে রোগ আক্রান্ত এবং গর্ভবতী গাভী জবাইয়ের ঘটনা শুনা যায়। গত রোববার একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা কয়েকদফা কসাইদের সাথে বৈঠক করা হলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তবে গতকালের ঘটনাটি তদন্ত চলছে। আশা করা যায় আজ কালকের মধ্যে কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে। আমরা বিষয়টি আইনিভাবে এগোচ্ছি।
তালেব আলী নামে স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, বানেশ্বর হাটে রাতের আঁধারে কসাইখানায় গরু-ছাগল জবাই করা হয়। আবার অনেক কসাই বাহির থেকে জবাই করে শুধু মাংস এনে হাটে বিক্রি করেন। যার কারণে বোঝার উপায় নেই কোন পশু সুস্থ এবং কোনটা অসুস্থ। রোববার বিকেলের দিকে কসাইখানার ময়লার ভাগাড় থেকে কয়েকটি কুকুর ওই অপরিপূর্ণ গরুর বাছুরটি টেনে বের করে আনে। এরপর থেকেই এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তবে কোন কসাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে পুঠিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মখলেছুর রহমান বলেন, হাট-বাজারে কোনো ভাবেই স্বাস্থ পরীক্ষা ছাড়া পশু জবাই করার নিয়ম নেই। তবে বানেশ্বর হাটে রোগাক্রান্ত বা গভবর্তী গাভী জবাইয়ের এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। তিনি বলেন, আমাদের অনুমতি ছাড়া পরবর্তীতে কোনো ধরনের পশু জবাই করলে কসাইদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, কসাইখানায় বাছুর বের হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আর কেউ কোনো অভিযোগও দিতে আসেনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।