সরকার দলীয় সাবেক চিফ হুইপ ও সাত বার নির্বাচিত সাংসদ আ.স.ম ফিরোজের বিরুদ্ধে ৪৬বছর পর বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর ও আনন্দ মিছিল করার অভিযোগে দায়ের করা নালিশি মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ২০ ডিসেম্বর দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন মামলাটি খারিজ করে দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রিপন খাঁন বলেন, বাদির অভিযোগ ভিত্তিহীন হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজের আদেশ দেন মহামাণ্য আদালত।
এর আগে গত ১৪ডিসেম্বর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মো. জাহিদুল হক ওরফে কালা নামের এক ব্যক্তি ওই নালিশি মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ১৯ ডিসেম্বর মামলাটির আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন। ২০ ডিসেম্বর (সোমবার) মামলাটি খারিজের আদেশ দেন বিচারক।
অপরদিকে দলীয় সূত্র জানায়, ‘আ.স.ম ফিরোজ এমপি বিগত ৪২বছর যাবৎ বাউফল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এ সংসদীয় আসন থেকে ৭বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাকে হুইপ ও চিফ হুইপ বানিয়েছেন। দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির। তাঁর এ জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং নেতৃত্ব দখলে নিতে একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সংসদ নির্বাচনের আগ মূহুর্তে ওই ষড়যন্ত্রকারীরা সরব হয়ে উঠে। এ মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলাও ওই ষড়যন্ত্রের অংশ।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোসারেফ হোসেন খাঁন বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে মিথ্যাকে কখনো প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। ষড়যন্ত্রকারীরা বিগত দিনেও ঘড়যন্ত্র করেছেন, এখনো করছেন। তাদের ষড়যন্ত্র বার বার মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আ.স.ম ফিরোজ এমপির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অন্য দিকে ষড়যন্ত্রকারীদের মানুষ ঘৃণা করছেন।
এবিষয়ে সাবেক চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুর কণ্যার নেতৃত্বে ৪২বছর যাবৎ রাজনীতি করছি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ দুষ্টু লোকের কাজ।