মণিরামপুরের পল্লীতে রেহেনা খাতুন (৩৬) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে মণিরামপুরের গোপালপুর গ্রামের মাঠে আজিজুর রহমান সরদারের বেগুনক্ষেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। রেহেনা খাতুন গোপালপুর গ্রামের নিছার আলী খাঁ এর মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে এলাকার লোকজন গোপাল মাঠে আজিজুর রহমান সরদারের বেগুনক্ষেতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানায় উপপরিদর্শক সৌমেন বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, লাশের মুখের মধ্যে একটি লাল চাদর ঢুকানো এবং তার একটি হাত ও একটি পা ভাঙ্গা রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারনা দুর্বৃত্তরা রেহেনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করতে পারে। তবে রোববার রাতের যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে এমনটি ধারনা করছেন এলাকাবাসী ও পুলিশ।
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, বাকপ্রতিবন্ধী রেহেনা খাতুন এলাকায় ভিক্ষা করে বেড়াতেন। সৎ মায়ের সংসারে তার বনিবনায় না থাকায় এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে আশ্রয় হিসেবে থাকতো সে। বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বিবাহ হয়নি তার। এ কারণে সে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ভিক্ষা করে চলতো। দরিদ্র পিতা নিছার আলীও তাকে তেমন দেখভাল করতো না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা থানার উপপরিদর্শক সৌমেন বলেন, ময়না তদন্তের পর হত্যা না অন্য কিছু তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহটি থানায় পৌছালে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।