জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে সরকারি জায়গায় প্রতিবন্ধী ফল ব্যবসায়ীর দোকান দেওয়া নিয়ে বাকবিত-ার জেরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর হামলায় হাট ইজারাদারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই ইজারাদার মোস্তাফিজার রহমান ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার বটতলী বাজারে একয় স্থানে দুইজন ব্যক্তি ফলের দোকান দেওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে মারামারি হয় এবং ওই প্রতিবান্ধর দোকান তুলে দেয় স্থানীয় শাহপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী জহুরুল ও তার ভাই হযরত আলী। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় বাজার সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া রাতে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ী জহুরুল ও হযরত লাঠি-সোটা সহ শাহপাড়া গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে বটতলী বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। বাধা দিতে গিয়ে তাদের হামলায় ইজারাদারসহ তিনজন আহত হন। পরে ক্ষেতলাল থানা ও ডিবি পুলিশ জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহতরা হলেন- তিলাবদুল মৃধাপাড়া গ্রামের ফুলবর হোসেন (৩৫), তিলাবদুল নামাপাড়ার আনোয়ার হোসেন (২৫) ও বটতলী হাট ও বাজার ইজারাদার মোস্তাফিজার রহমান মোমেন (৫৫)। তাদের জয়পুরহাটে জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুড়াইল গ্রামের আতাউর রহমান জানায়, বটতলী বাজারের চারমাথা মোড়ে সরকারি জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে ফলের দোকান করছিল পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক শহীদ মিয়া।
বটতলী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া বলেন, “প্রতিবন্ধী একজন ফল ব্যবসায়ীকে অন্যায়ভাবে মারপিট ও ব্যবসায় বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাহপাড়া গ্রামবাসী লাঠি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় অতর্কিতে ভাবে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। ”
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, “গন্ডোগোলের খবর পেয়ে বটতলী বাজারে পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় জয়পুরহাট সদর থানা, গোয়েন্দা ও দাঙ্গা পুলিশ বাজারে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”