পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘের আক্রমণে নিহত জেলে মুজিবর রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের পায়রাতলী এলাকা থেকে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় বনবিভাগ।
এরআগে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মুজিবর রহমানকে বাঘে ধরে নিয়ে গেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও টাইগার টিমের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা জঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে তল্লাসী নেয়। তল্লাসীর একপর্যায়ে ডান পা বাঘে খাওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশন অফিসার হারুন-অর রশিদ জানান, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও টাইগার টিমের সদস্যরা মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহের সন্ধ্যানে পায়রাতলী এলাকায় অভিযান চালায়। একপর্যায়ে ওই এলাকার গহীন অরণ্যের মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম এ হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পূর্বে উদ্ধারকারী দল খোলা আকাশে গুলি ছুড়ে সংশ্লিষ্ট বন এলাকা বিপদমুক্ত করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে সুন্দরবনে ভিতর হতে মুজিবর গাজীর ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকল প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন আইন মতে নিহতের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, চলতি বছর সুন্দরবনে বাঘের হামলায় ৪ বনজীবী নিহত হয়। এ সময় এক বনজীবী আহত হয়। এ পর্যন্ত নিহতের দুই পরিবারকে ৬ লক্ষ টাকা বন বিভাগের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের পায়রাতলী এলাকায় বাঘের আক্রমণে মারা যান মুজিবর রহমান। নিহত মুজিবর রহমান শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পারশেখালী গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি কাঁকড়া ধরার জন্য সপ্তাহখানেক আগে সুন্দরবনে যান।