দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন না করে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের পূণর্বাসন করা হচ্ছে। দলের মধ্যে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীরা রাম রাজত্ব করতেছে। এদের বিরুদ্ধে বর্তমান যুবলীগ নেতাকর্মীদের সবার সজাগ থাকতে হবে। তৃণমূল থেকে আমাদের বঞ্চিত ও যোগ্য নেতৃত্ব বৃন্দদের মূল্যায়ন করে এই চক্রান্ত আমরা প্রতিহত করব। অনুপ্রবেশকারীদের বিষযয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বরগুনা জেলা যুবলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মঙ্গলবার যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।
বরগুনা টাউন হল চত্তরে বেলা সাড়ে ১২ টায় নির্ধারিত সময়ের আড়াইঘন্টা পরে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সন্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
জেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুল আহসান মহারাজের সভাপতিতে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন,কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক, মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামালিগের সভাপতি আ্যাডঃ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু,সংসদ সদস্য,সুলতানা নাদিরা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সুবাস চন্দ্র হাওলাদার, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক,কাজী মাজহারুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর সহ যুবলীগ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর সঞ্চালনায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন,যুবলীগ নেতা কর্মীদের পদ পদবী ব্যাবহার করে চাঁদাবাজি করা চলবে না।সততার সাথে মানবকল্যানে যুবলীগকে রাজনীতি করার আহবান জানান যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন,আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জনগনের সেবায় যুবলীগ কর্মীদের কাজ করতে হবে।৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে হবে। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন,আজও বিদেশীদের পৃষ্টপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র চলছে।
সন্ধায় সার্কিট হাউস মিলনায়তনে কাউন্সিলারদের সভায় যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।
বরগুনা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়।