প্রতিবন্ধি রেহেনা (৩৬) হত্যাকান্ডের পর অনেক মাদক সেবী আত্মগোপনে গেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের ব্যাপারে তৎপর হলেও নাগালে পাচ্ছেননা কাউকে। তবে এলাকার মাদক কারবারীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মণিরামপুরের গোপালপুর গ্রামের হতদরিদ্র নিছার আলী খাঁর মেয়ে প্রতিবন্ধি রেহেনা খাতুন। সোমবার দুপুরে উপজেলার গোপালপুর মাঠের আজিজুর রহমান সরদারের বেগুন ক্ষেত থেকে রেহেনার মরদেহ উদ্ধার করে। রেহেনার চাচা আফসার আলী খাঁ বাদি হয়ে সোমবার রাতে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-১০।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, সোমবার রাতে থানা পুলিশ ফেদাইপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে বুলবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছেন। সূত্র আরও জানিয়েছে পুলিশ এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে আটক এ বুলবুলের ভাই রিজাউলকে খুঁজছে।
পুলিশ ও বাদি পক্ষের দাবী দূর্বৃত্তরা তাকে ধর্ষনের পর হত্যা করেছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছেন রেহেনার মরদেহ যে বেগুন ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বেগুন ক্ষেতে প্রতিরাতে রিজাউলের নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জনের একটি দল মাদক সেবনের আখড়া বসায়। এলাকাবাসীর ধারনা মাদক সেবীরাই প্রতিবন্ধি রেহেনাকে ধর্ষনের পর হত্যা করেছে।
এদিকে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে রেহেনা হত্যাকান্ডের পর এলাকার কয়েকজন আলোচিত মাদক সেবী গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সমেন বিশ্বাস জানিয়েছেন রেহেনা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের ব্যাপারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।